সাইকেল চলবে ঢাকায় স্মার্টকার্ড সহায়তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একবার কল্পনা করুন আপনি সাইকেল ভাড়া করে শহরের এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কার্ড পাঞ্চ করে সাইকেল নিচ্ছেন আবার রেখেও দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনার কার্ড থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। আপনার সাইকেল চালানোর জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। কারণ এজন্য আলাদা লেইন থাকবে। মনের সুখে চলবে চাকা স্মার্ট ঢাকায়। এমন অভাবনীয় ডিজিটাল চিন্তা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাইদ খোকন। নগরীর যানজট কমার পাশাপাশি বাসিন্দাদের দুর্ভোগ ও খরচ কমিয়ে উন্নত বিশ্বের আদলে স্মার্ট নগরী গড়তে এ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাইসাইকেল চালানোর লেন তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব লেনে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে বাইসাইকেলও দেয়া হবে। এই সাইকেল স্মার্টকার্ড পাঞ্চ করে যে কেউ চালাতে পারবেন, যা চীনের ইনচুয়ান শহরসহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন শহরে রয়েছে।
এজন্য নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইকেল স্টেশন ও অটোমেশন বুথ স্থাপন করা হবে। ওই বুথে স্মার্টকার্ড পাঞ্চ করেই সংস্থাটির সাইকেল নিয়ে পুরো শহর ঘুরে বেড়ানো যাবে। তবে ডিএসসিসির সাইকেল ভাড়া নিতে হলে রেজিস্ট্রেশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগেই সংস্থাটি থেকে স্মার্টকার্ডটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। যতটুকু সময় সাইকেল চালানো হবে, সেই অনুযায়ী স্মার্টকার্ড থেকে টাকা কেটে নেবে সংস্থাটি।
মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষিত স্মার্ট ঢাকার অন্যতম একটি পদক্ষেপ বাইসাইকেল। এর মাধ্যমে যেমন দুর্ঘটনা কমবে তেমনি কমবে পরিবেশ দূষণ। সাশ্রয় হবে ভাড়াও।
যদিও বিশেষজ্ঞদের সাথে এ নিয়ে মতনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, সরু রাস্তায় কী করে আলাদা লেইন হবে? আবার কেউ বলছেন, বিশেষ কোনো সাড়া পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ নির্দিষ্ট কারো কাছে ছাড়া।
তবে সে যাই হোক, আমাদের চিন্তার সুস্থ পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা থাকা দরকার। ব্যর্থতার কথা নাহয় আপাতত তোলা থাক। দেশকে সুন্দর ও শান্তিময় করে তুলতে সবার ইচ্ছাগুলো পরিচ্ছন্ন হওয়াটা জরুরী।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ